ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সেমিনার
এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ পেছানোর যুক্তি নেই : আনিসুজ্জামান চৌধুরী
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের বিষয়টি এখন আর সরকারের হাতে নেই। এটা জাতিসংঘের নির্ধারিত প্রক্রিয়া, যেখানে সব সদস্য রাষ্ট্রের মতামত গুরুত্ব পাবে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এলডিসি তালিকায় থাকা তিন দেশ—বাংলাদেশ, নেপাল ও লাওস নিয়ে আলোচনা হবে।
শনিবার দেশের অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) আয়োজিত ‘এলডিসি থেকে উত্তরণ ও বাংলাদেশের প্রস্তুতি’ শীর্ষক সেমিনারে আনিসুজ্জামান চৌধুরী এ কথা বলেন।
আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে নেপাল ও লাওস থেকে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ফলে বাংলাদেশের উত্তরণ পেছানোর যুক্তি নেই।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এম মাসরুর রিয়াজ, বাংলাদেশ নিট পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালার সভাপতিত্বে সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসিতে (সিডিপি) গিয়ে বলতে হবে, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য আরও সময় লাগবে। কীভাবে বলবেন—সদস্যদের তো বোঝাতে হবে যে ভাই পারব না। আমার প্রশ্ন, নেপাল, লাওস পারলে আমরা কেন পারব না? তিন বছর পেছানোর কথা বলা হচ্ছে, এটা তো হয়েছে। হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালে। কোভিডের কারণে সব দেশের জন্যই দুই বছর পিছিয়ে ২০২৬ করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এলডিসি উত্তরণ নিয়ে সরকার আগের অবস্থানেই আছে। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। আবার এ–ও মনে রাখতে হবে, বিতর্কও অনেক সময় ছিনতাই হয়ে যায়। প্রেস সচিব বলেন, এলডিসি উত্তরণ সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি বাড়বে।
এলডিসি উত্তরণ নিয়ে সরকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসেনি দাবি করে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এলডিসি উত্তরণ হলে কী ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে, সরকার এখনো তা বলেনি। বাংলাদেশের যে রপ্তানির পরিমাণ, তা কি লাওস ও নেপালের আছে? তাদের তো হারানোর কিছু নেই।
পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ বলেন, এলডিসি উত্তরণ পেছানোর সুযোগ নেই। তবে বেসরকারি খাতেরও এখানে দায়িত্ব আছে। তথ্য-উপাত্ত দিয়ে তাদের বলতে হবে, না পেছালে ক্ষতি কী। সময় নির্ধারণের বিষয় নিয়ে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে খোলামেলা আলোচনা হতে পারে।
বিজভিউ/জেডএইচএস