ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
দুই লাখ টাকার মাইলফলক ছাড়ালো স্বর্ণের ভরি এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ পেছানোর যুক্তি নেই : আনিসুজ্জামান চৌধুরী জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্রপ্রার্থী জিতু, জিএস শিবিরের মাজহারুল আইন শক্তিশালী না হলে শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না ইসলামী ব্যাংকের নতুন এমডি ওমর ফারুক খাঁন ৫০ কোটির ব্যাংক গ্যারান্টিতে শত শত কোটি টাকার টিকিট বেচতো ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’ ‘রিফান্ড’ আতঙ্কে টিকিটের টাকা গচ্চার শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা গ্রাহক ও এজেন্সির কয়েকশ’ কোটি টাকা নিয়ে ‘লাপাত্তা’ ফ্লাইট এক্সপার্ট পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নেমে আসা ‘সন্তোষজনক’: আমীর খসরু অশুল্ক চুক্তির ব্যাপারে কূটনৈতিক ব্যাখ্যা জরুরি: ড. গোলাম মোয়াজ্জেম

দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশিক্ষণ বিমানবন্দর দ্রুত সরানোর তাগিদ

বিজভিউ রিপোর্ট:

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে আছড়ে পড়ে  বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান। গত সোমবার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে।

ঘটনার পর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছিল মাইলস্টোনের ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ১৬৫ জন আহত হয়েছে। পরে আহত আরও তিনজনের মৃত্যু হওয়ায় সেই হিসাব দাঁড়ায় ৩৪ জনে। যদিও মাইলস্টোন স্কুলের হিসাবে এই সংখ্যা এখনো ২৪ জন।

সবমিলিয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রতিটি কক্ষ এখন যেন যন্ত্রণার একেকটি গহ্বর। যেখানেই চোখ যায়, সেখানেই সাদা ব্যান্ডেজে মোড়ানো পোড়া শরীর, যন্ত্রণাক্লিষ্ট অসহায় চোখে তাকিয়ে থাকা দগ্ধ শিশু অথবা তাদের কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত স্বজনের ভিড়।

মৃত্যুর ছায়া যেন কণ্ঠে চেপে বসে আছে আহতদের পরিবারে। উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধদের বেশিরভাগই এই বার্ন ইনস্টিটিউটে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী এখন সব মিলে মোট ৪৪ রোগী ভর্তি আছে। যাদের মধ্যে খুব বেশি আশঙ্কাজনক অবস্থা ১৩ জনের। ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরিতে আছে ২৩ জন। এদের দ্রুত ভালোর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন চিকিৎসকরা।

শুধু চিকিৎসাধীনরা নয়, আহতদের প্রত্যেক স্বজনের কণ্ঠেই ঝরে পড়ছে জীবনের অসমাপ্ত গল্প, হতবিহ্বলতা, ক্রন্দন, প্রার্থনা। কিন্তু এখনো ঘুম ভাঙছে না ঘটনার মূল খলনায়ক প্রশিক্ষণের যুদ্ধবিমান। এতবড় ভয়ানক ঘটনার পরও নড়েচড়ে বসার কথা শোনা যায়নি বিমানবাহিনীর কাছ থেকে।

কোমলমতি শিশুদের মৃত্যু আর আহতদের দগ্ধ শরীরের অসহ্য যন্ত্রণা। প্রিয়তম সন্তান হারিয়ে স্বজনদের আহাজারি। দেশ শোকে মুহ্যমান। এই শোকের মধ্যেই জনবহুল এলাকায় বিমানের পাইলট প্রশিক্ষণ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিমানের প্রশিক্ষণ বন্ধের দাবি উঠেছে। সেই সঙ্গে ঢাকার মতো জনবহুল এলাকা থেকে বিমানবন্দর অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শতকোটি টাকা খরচ করার পরও ঢাকার বাইরে বিমানবন্দর সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ এখনও হিমঘরে।

পাইলট প্রশিক্ষণ কোথায় হবে, সে প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রটোকলগুলোতে বলা হয়েছে- ‘জনবহুল বা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পরিচালিত কার্যক্রমে ব্যক্তি আহত হওয়ার সম্ভাবনা এবং নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ কারণে ঝুঁকি-বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য গ্রামীণ বা কম জনবসতিপূর্ণ এলাকা, নদী ও চর এলাকা সুপারিশ করা হয়।

আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) পরিশিষ্ট ১৪ অনুযায়ী, গ্রামীণ ও জনবিরল এলাকাকে প্রশিক্ষণের জন্য সর্বোত্তম এলাকা হিসেবে বলা হয়েছে।

ঢাকার মতো একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিমানের প্রশিক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন হতাহতের স্বজন ও সহপাঠীরা। তারা বলেছেন, পৃথিবীর কোথায়ও এত ঘনবতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ পরিচালনা এবং বিমানবন্দর নেই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দীর্ঘ দূরত্বে বিমানবন্দরসহ এই ধরনের কার্যক্রম থাকে। এখন জনবসতি কম এলাকায় এই প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এটা সিলেট-কক্সবাজারসহ ঢাকার বাইরের বিভিন্ন এলাকায় হতে পারে।

কিন্তু এ বিষয়ে এখনো কোনো সুষ্পষ্ট ঘোষণা মেলেনি কোনোদিক থেকেই। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, বিমানবন্দরগুলো হয়েছিল ৬০-৭০ বছর আগে। তখন এলাকাগুলো ছিল অনেকটাই জনবিরল। কিন্তু জনবসতি ধীরে ধীরে বেড়েছে। তাই ঝুঁকি বিবেচনায় এগুলো সরিয়ে নেয়া এখন সময়ের দাবি।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও বিমান বাহিনীর সাবেক জেষ্ঠ কর্মকর্তা এয়ার কমডোর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, একই জায়গায় বাণিজ্যিক বিমান পরিচালনা এবং প্রশিক্ষণ বিমান ওঠানামা নিরাপদ নয়। তাই যত দ্রুত সম্ভব বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানবন্দর তেজগাঁও থেকে সরিয়ে নিতে হবে।

আরেক এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ঢাকার বাইরে বিমানবন্দর নির্মাণ করা খুবই প্রয়োজন। ঢাকা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, দুর্ঘটনার কারণে বিমান ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিধ্বস্ত হলে হতাহতের সংখ্যা মারাত্মক আকার ধারণ করবে, যার প্রমাণ উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে মর্মান্তিক ঘটনা। নানা মহল থেকে এসব প্রশিক্ষণ ঢাকার বাইরে করার দাবি উঠেছে। সংশ্লিষ্টদের উচিত বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে উদ্যোগ নেওয়া।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, ঘনবসতিতে নিচু এলাকা দিয়ে বিমান উড়ানো বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এটা তো বিমান অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় পড়েছে। ঢাকার বাইরেও বেশিরভাগ প্রশিক্ষণ হয়। কিন্তু এটার ফাইটার স্কোয়াডন ঢাকায়।

হতাহতের সংখ্যা এড়াতে পাইলট বিমানটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া সময়ের দাবি বলে উল্লেখ করেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা থেকে মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের সীমান্তঘেঁষে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের চূড়ান্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী সমীক্ষাও হয়েছে। এক লাখ কোটি টাকা ব্যয়ের বিমানবন্দরের ড্রয়িং-ডিজাইন ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ব্যয় হয়েছে প্রায় শতকোটি টাকা। তবে একযুগ পরও অজ্ঞাত কারণে বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা আটকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজভিউ/ জেডএইচএস

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:০৯:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
১৫০ বার পড়া হয়েছে

দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশিক্ষণ বিমানবন্দর দ্রুত সরানোর তাগিদ

আপডেট সময় ১১:০৯:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে আছড়ে পড়ে  বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান। গত সোমবার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে।

ঘটনার পর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছিল মাইলস্টোনের ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ১৬৫ জন আহত হয়েছে। পরে আহত আরও তিনজনের মৃত্যু হওয়ায় সেই হিসাব দাঁড়ায় ৩৪ জনে। যদিও মাইলস্টোন স্কুলের হিসাবে এই সংখ্যা এখনো ২৪ জন।

সবমিলিয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রতিটি কক্ষ এখন যেন যন্ত্রণার একেকটি গহ্বর। যেখানেই চোখ যায়, সেখানেই সাদা ব্যান্ডেজে মোড়ানো পোড়া শরীর, যন্ত্রণাক্লিষ্ট অসহায় চোখে তাকিয়ে থাকা দগ্ধ শিশু অথবা তাদের কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত স্বজনের ভিড়।

মৃত্যুর ছায়া যেন কণ্ঠে চেপে বসে আছে আহতদের পরিবারে। উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধদের বেশিরভাগই এই বার্ন ইনস্টিটিউটে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী এখন সব মিলে মোট ৪৪ রোগী ভর্তি আছে। যাদের মধ্যে খুব বেশি আশঙ্কাজনক অবস্থা ১৩ জনের। ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরিতে আছে ২৩ জন। এদের দ্রুত ভালোর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন চিকিৎসকরা।

শুধু চিকিৎসাধীনরা নয়, আহতদের প্রত্যেক স্বজনের কণ্ঠেই ঝরে পড়ছে জীবনের অসমাপ্ত গল্প, হতবিহ্বলতা, ক্রন্দন, প্রার্থনা। কিন্তু এখনো ঘুম ভাঙছে না ঘটনার মূল খলনায়ক প্রশিক্ষণের যুদ্ধবিমান। এতবড় ভয়ানক ঘটনার পরও নড়েচড়ে বসার কথা শোনা যায়নি বিমানবাহিনীর কাছ থেকে।

কোমলমতি শিশুদের মৃত্যু আর আহতদের দগ্ধ শরীরের অসহ্য যন্ত্রণা। প্রিয়তম সন্তান হারিয়ে স্বজনদের আহাজারি। দেশ শোকে মুহ্যমান। এই শোকের মধ্যেই জনবহুল এলাকায় বিমানের পাইলট প্রশিক্ষণ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিমানের প্রশিক্ষণ বন্ধের দাবি উঠেছে। সেই সঙ্গে ঢাকার মতো জনবহুল এলাকা থেকে বিমানবন্দর অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শতকোটি টাকা খরচ করার পরও ঢাকার বাইরে বিমানবন্দর সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ এখনও হিমঘরে।

পাইলট প্রশিক্ষণ কোথায় হবে, সে প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রটোকলগুলোতে বলা হয়েছে- ‘জনবহুল বা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পরিচালিত কার্যক্রমে ব্যক্তি আহত হওয়ার সম্ভাবনা এবং নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ কারণে ঝুঁকি-বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য গ্রামীণ বা কম জনবসতিপূর্ণ এলাকা, নদী ও চর এলাকা সুপারিশ করা হয়।

আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) পরিশিষ্ট ১৪ অনুযায়ী, গ্রামীণ ও জনবিরল এলাকাকে প্রশিক্ষণের জন্য সর্বোত্তম এলাকা হিসেবে বলা হয়েছে।

ঢাকার মতো একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিমানের প্রশিক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন হতাহতের স্বজন ও সহপাঠীরা। তারা বলেছেন, পৃথিবীর কোথায়ও এত ঘনবতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ পরিচালনা এবং বিমানবন্দর নেই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দীর্ঘ দূরত্বে বিমানবন্দরসহ এই ধরনের কার্যক্রম থাকে। এখন জনবসতি কম এলাকায় এই প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এটা সিলেট-কক্সবাজারসহ ঢাকার বাইরের বিভিন্ন এলাকায় হতে পারে।

কিন্তু এ বিষয়ে এখনো কোনো সুষ্পষ্ট ঘোষণা মেলেনি কোনোদিক থেকেই। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, বিমানবন্দরগুলো হয়েছিল ৬০-৭০ বছর আগে। তখন এলাকাগুলো ছিল অনেকটাই জনবিরল। কিন্তু জনবসতি ধীরে ধীরে বেড়েছে। তাই ঝুঁকি বিবেচনায় এগুলো সরিয়ে নেয়া এখন সময়ের দাবি।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও বিমান বাহিনীর সাবেক জেষ্ঠ কর্মকর্তা এয়ার কমডোর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, একই জায়গায় বাণিজ্যিক বিমান পরিচালনা এবং প্রশিক্ষণ বিমান ওঠানামা নিরাপদ নয়। তাই যত দ্রুত সম্ভব বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানবন্দর তেজগাঁও থেকে সরিয়ে নিতে হবে।

আরেক এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ঢাকার বাইরে বিমানবন্দর নির্মাণ করা খুবই প্রয়োজন। ঢাকা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, দুর্ঘটনার কারণে বিমান ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিধ্বস্ত হলে হতাহতের সংখ্যা মারাত্মক আকার ধারণ করবে, যার প্রমাণ উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে মর্মান্তিক ঘটনা। নানা মহল থেকে এসব প্রশিক্ষণ ঢাকার বাইরে করার দাবি উঠেছে। সংশ্লিষ্টদের উচিত বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে উদ্যোগ নেওয়া।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, ঘনবসতিতে নিচু এলাকা দিয়ে বিমান উড়ানো বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এটা তো বিমান অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় পড়েছে। ঢাকার বাইরেও বেশিরভাগ প্রশিক্ষণ হয়। কিন্তু এটার ফাইটার স্কোয়াডন ঢাকায়।

হতাহতের সংখ্যা এড়াতে পাইলট বিমানটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া সময়ের দাবি বলে উল্লেখ করেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা থেকে মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের সীমান্তঘেঁষে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের চূড়ান্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী সমীক্ষাও হয়েছে। এক লাখ কোটি টাকা ব্যয়ের বিমানবন্দরের ড্রয়িং-ডিজাইন ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ব্যয় হয়েছে প্রায় শতকোটি টাকা। তবে একযুগ পরও অজ্ঞাত কারণে বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা আটকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজভিউ/ জেডএইচএস