ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
দুই লাখ টাকার মাইলফলক ছাড়ালো স্বর্ণের ভরি এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ পেছানোর যুক্তি নেই : আনিসুজ্জামান চৌধুরী জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্রপ্রার্থী জিতু, জিএস শিবিরের মাজহারুল আইন শক্তিশালী না হলে শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না ইসলামী ব্যাংকের নতুন এমডি ওমর ফারুক খাঁন ৫০ কোটির ব্যাংক গ্যারান্টিতে শত শত কোটি টাকার টিকিট বেচতো ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’ ‘রিফান্ড’ আতঙ্কে টিকিটের টাকা গচ্চার শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা গ্রাহক ও এজেন্সির কয়েকশ’ কোটি টাকা নিয়ে ‘লাপাত্তা’ ফ্লাইট এক্সপার্ট পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নেমে আসা ‘সন্তোষজনক’: আমীর খসরু অশুল্ক চুক্তির ব্যাপারে কূটনৈতিক ব্যাখ্যা জরুরি: ড. গোলাম মোয়াজ্জেম

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নাজাহর রহস্যময় মৃত্যু

বিজভিউ রিপোর্ট

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)’র অর্থনীতি বিভাগের মেধাবী ছাত্রী আনবার নাজাহ (২৬) এর মৃত্যু নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। আমেরিকার আটলান্টাস্থ ইমোরি জোন্স ক্রিক হাসপাতালে মারা গেলেও তার পরিবারকে না জানিয়ে নাজাহর মরদেহ দাফন করে ফেলে তার স্বামী ডেভিড উ নিউবাই।

উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য ২০২৩ সালে স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে পারি জমান আনবার নাজাহ। ৮ ফেব্রুয়ারি ডেভিড উ নিউবাই নামক এক আমেরিকানের সাথে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। এর পর থেকেই আটলান্টার জোন্স ক্রিক সিটিতে স্বামীর সাথে বাস করে আসছেন। নাজাহর বাবা ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা জাকিউর রহমান জিতু।

আটলান্টাস্থ সামাজিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব জর্জিয়া’ এবং ‘বাংলাধারা’র সভাপতি মাহবুব ভূঁইয়া নাজাহর বাবার বরাত দিয়ে বলেন, গত ২ মে হাসপাতালে ভর্তি হন নাজাহ। ৩ মে তার স্বামী ডেভিডের সাথে ফোনে কথা হয় নাজাহর বাবা জিতুর সঙ্গে। ওই সময় গুরুতর অবস্থায় ইমোরি জোন্স ক্রিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার দৃশ্য দেখিয়েছেন ডেভিড। নাজাহর বাবার সঙ্গে তার স্বামীর যোগাযোগ ছিল ৯ মে পর্যন্ত। এর তিন দিন পর ১২ মে ডেভিড নাজাহর বাবাকে অবহিত করেন যে ১১ মে তাকে দাফন করা হয়েছে স্থানীয় মুসলিম গোরস্থানে। অথচ মৃত্যুর খবরটি জানায়নি ডেভিড।

কন্যার মৃত্যু সংবাদে বিচলিত বাবা শরণাপন্ন হন বাংলাদেশ কম্যুনিটির। এদিকে, নাজাহর এই অকাল মৃত্যুতে শোকাহত সাবেক সহপাঠিসহ স্থানীয় প্রবাসীরা। তাদের দাবি নাজাহর মৃত্যু রহস্যবৃত্ত। দ্রুত এ মৃত্যুর কারণ উদঘাটন এবং মরদেহ তার মা-বাবার কাছে হস্তান্তরে আবেদন করেন।

উল্লেখ্য, ছাত্র ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর সাউদার্ন ইউটাহ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলেন। পাবনার ফেরিঘাট পাড়ার সন্তান নাজাহর দাবা খেলার শখ ছিল। সেই সুবাদে অনলাইনে বন্ধুত্ব হয়েছিল ডেভিডের সাথে। এরপরই বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।

বিজভিউ/আরএন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:০৪:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
১১০ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নাজাহর রহস্যময় মৃত্যু

আপডেট সময় ০১:০৪:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)’র অর্থনীতি বিভাগের মেধাবী ছাত্রী আনবার নাজাহ (২৬) এর মৃত্যু নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। আমেরিকার আটলান্টাস্থ ইমোরি জোন্স ক্রিক হাসপাতালে মারা গেলেও তার পরিবারকে না জানিয়ে নাজাহর মরদেহ দাফন করে ফেলে তার স্বামী ডেভিড উ নিউবাই।

উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য ২০২৩ সালে স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে পারি জমান আনবার নাজাহ। ৮ ফেব্রুয়ারি ডেভিড উ নিউবাই নামক এক আমেরিকানের সাথে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। এর পর থেকেই আটলান্টার জোন্স ক্রিক সিটিতে স্বামীর সাথে বাস করে আসছেন। নাজাহর বাবা ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা জাকিউর রহমান জিতু।

আটলান্টাস্থ সামাজিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব জর্জিয়া’ এবং ‘বাংলাধারা’র সভাপতি মাহবুব ভূঁইয়া নাজাহর বাবার বরাত দিয়ে বলেন, গত ২ মে হাসপাতালে ভর্তি হন নাজাহ। ৩ মে তার স্বামী ডেভিডের সাথে ফোনে কথা হয় নাজাহর বাবা জিতুর সঙ্গে। ওই সময় গুরুতর অবস্থায় ইমোরি জোন্স ক্রিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার দৃশ্য দেখিয়েছেন ডেভিড। নাজাহর বাবার সঙ্গে তার স্বামীর যোগাযোগ ছিল ৯ মে পর্যন্ত। এর তিন দিন পর ১২ মে ডেভিড নাজাহর বাবাকে অবহিত করেন যে ১১ মে তাকে দাফন করা হয়েছে স্থানীয় মুসলিম গোরস্থানে। অথচ মৃত্যুর খবরটি জানায়নি ডেভিড।

কন্যার মৃত্যু সংবাদে বিচলিত বাবা শরণাপন্ন হন বাংলাদেশ কম্যুনিটির। এদিকে, নাজাহর এই অকাল মৃত্যুতে শোকাহত সাবেক সহপাঠিসহ স্থানীয় প্রবাসীরা। তাদের দাবি নাজাহর মৃত্যু রহস্যবৃত্ত। দ্রুত এ মৃত্যুর কারণ উদঘাটন এবং মরদেহ তার মা-বাবার কাছে হস্তান্তরে আবেদন করেন।

উল্লেখ্য, ছাত্র ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর সাউদার্ন ইউটাহ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলেন। পাবনার ফেরিঘাট পাড়ার সন্তান নাজাহর দাবা খেলার শখ ছিল। সেই সুবাদে অনলাইনে বন্ধুত্ব হয়েছিল ডেভিডের সাথে। এরপরই বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।

বিজভিউ/আরএন