ভোজ্যতেলের দর নির্ধারণে ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠকে বসছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
কয়েক দফায় আলোচনার পরও নির্ধারণ হয়নি সয়াবিন ও পাম অয়েলসহ ভোজ্যতেলের দর। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৯০ টাকার বেশি, নাকি কম হবে সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে, এ বিষয়ে দুপুরে বৈঠক ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ বৈঠক শেষে নতুন দর ঘোষণা হবে বলে নিশ্চিত করেছে সরকার ও ব্যবসায়ী পক্ষ। সব ঠিক থাকলে তেলের বাড়তি দর আজই ঘোষণা হতে পারে।
প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১৩ টাকা করে বাড়াতে চেয়ে ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানাগুলোর সমিতি ঈদের আগের শেষ কর্মদিবসে ট্যারিফ কমিশনে চিঠি দেয়। এ নিয়ে কয়েকদফা বৈঠক হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে। ব্যবসায়ীদের দাবি, ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা প্রত্যাহারের ফলে তাদের খরচ লিটারপ্রতি ২১ টাকা বেড়েছে। এ বিবেচনায় তেলের দর ১৩ থেকে ১৮ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন তারা। তবে, সরকার চায় নতুন করে তেলের বাজার অস্থির না হোক।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদেরকে ভোজ্যতেলের দর বৃদ্ধিতে ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয়টি পুরোটা দরের সাথে সমন্বয় না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সয়াবিন বা পামঅয়েলের দর লিটারপ্রতি ১০/১২ টাকার বেশি না বাড়ানোর আহবান জানানো হয়েছে। তেলের দর লিটারপ্রতি কোনোভাবে যাতে ১৯০ টাকা না ছাড়ায় সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি এখনো। সেই বিবেচনায় ব্যবসায়ীরা তেলের দর লিটারপ্রতি ১৩ থেকে ১৫ টাকা বাড়ানোর ব্যাপারে সরকার ঘোষণা দিতে পারে।
এর আগে, ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৬ সদস্যের একটি দলের সঙ্গে কয়েকদফা বৈঠক করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান ও বাণিজ্যসচিব মো. মাহবুবুর রহমান।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর অব্যাহতি দেওয়ায় মাসে ৪৩১ কোটি টাকা কম রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে। সেই হিসাবে ছয় মাসে এনবিআর রাজস্ব হারিয়েছে ২ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা।
বিজভিউ/ জেডএইচএস