ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
দুই লাখ টাকার মাইলফলক ছাড়ালো স্বর্ণের ভরি এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ পেছানোর যুক্তি নেই : আনিসুজ্জামান চৌধুরী জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্রপ্রার্থী জিতু, জিএস শিবিরের মাজহারুল আইন শক্তিশালী না হলে শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না ইসলামী ব্যাংকের নতুন এমডি ওমর ফারুক খাঁন ৫০ কোটির ব্যাংক গ্যারান্টিতে শত শত কোটি টাকার টিকিট বেচতো ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’ ‘রিফান্ড’ আতঙ্কে টিকিটের টাকা গচ্চার শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা গ্রাহক ও এজেন্সির কয়েকশ’ কোটি টাকা নিয়ে ‘লাপাত্তা’ ফ্লাইট এক্সপার্ট পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নেমে আসা ‘সন্তোষজনক’: আমীর খসরু অশুল্ক চুক্তির ব্যাপারে কূটনৈতিক ব্যাখ্যা জরুরি: ড. গোলাম মোয়াজ্জেম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ক্ষুদ্রঋণ বিষয় কর্মশালায় গভর্নর

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে মূলধারায় আনতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক: গভর্নর

নিজস্ব সংবাদ :

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) আর্থিক কাঠামোর মূলধারায় নিয়ে আসতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ খাতে ঋণের পরিমাণ কেন বাড়ছে না সেটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ‘নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ঋণমান নির্ধারণ ও ক্ষুদ্রঋণ’ বিষয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গভর্নর। এসএমই ফাউন্ডেশন ও এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশে ডেটার মূল্যায়ন খুবই কম। এ কারণে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। এই পরিস্থিতি কাটাতে হলে আমাদের প্রযুক্তিনির্ভর হতে হবে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ রয়েছে। শিগগিরই হয়তো আমরা সেদিকে যাব।

আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে (এমএফআই) নারীর অংশগ্রহণ অনেক বেশি থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংকিং কাঠামোতে নারীর অংশগ্রহণ বেশি দেখা যায় না। এর পেছনে আর্থসামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষাগত অনেক বাধা রয়েছে। আমরা এই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য কাজ করছি। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ অন্তত ৫০ শতাংশ বাধ্যতামূলক করা যায় কি না, সেটি ভেবে দেখছি। এটি করা গেলে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংকিং–পদ্ধতিকে একেবারে মানুষের ঘরের মধ্যে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. নাজিম হোসেন সাত্তার ও এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ। প্যানেল আলোচক ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খান, ব্র্যাক ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবদুল মোমেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক নওশাদ মোস্তফা, ভিসার জ্যেষ্ঠ প্রোডাক্ট ম্যানেজার ধবল ছেদা এবং কিফিয়া ফাইন্যান্সিয়াল টেকনোলজির সিইও মুনির দুরি।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জামানতবিহীন ঋণ ছাড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) ঋণমান নির্ধারণপদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এতে বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন।

এসএমই ফাউন্ডেশনের ডিএমডি মো. নাজিম হোসেন সাত্তার জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এসএমই ফাউন্ডেশন দেশের প্রায় ১০ হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তার মধে৵ সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে, ঋণপ্রাপ্ত উদ্যোক্তার প্রায় ২৫ শতাংশ নারী।

কর্মশালায় জানানো হয়, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো জামানত, গ্যারান্টি ও আর্থিক রেকর্ডের ওপর নির্ভর করে থাকে। এসব শর্ত পূরণ করতে না পারায় ঋণ পেতে নানা সমস্যার মুখোমুখি হন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা; বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তারা।

বিজভিউ/ জেডএইচএস

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:৩৪:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
১৪৯ বার পড়া হয়েছে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ক্ষুদ্রঋণ বিষয় কর্মশালায় গভর্নর

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে মূলধারায় আনতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক: গভর্নর

আপডেট সময় ১১:৩৪:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) আর্থিক কাঠামোর মূলধারায় নিয়ে আসতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ খাতে ঋণের পরিমাণ কেন বাড়ছে না সেটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ‘নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ঋণমান নির্ধারণ ও ক্ষুদ্রঋণ’ বিষয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গভর্নর। এসএমই ফাউন্ডেশন ও এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশে ডেটার মূল্যায়ন খুবই কম। এ কারণে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। এই পরিস্থিতি কাটাতে হলে আমাদের প্রযুক্তিনির্ভর হতে হবে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ রয়েছে। শিগগিরই হয়তো আমরা সেদিকে যাব।

আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে (এমএফআই) নারীর অংশগ্রহণ অনেক বেশি থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংকিং কাঠামোতে নারীর অংশগ্রহণ বেশি দেখা যায় না। এর পেছনে আর্থসামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষাগত অনেক বাধা রয়েছে। আমরা এই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য কাজ করছি। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ অন্তত ৫০ শতাংশ বাধ্যতামূলক করা যায় কি না, সেটি ভেবে দেখছি। এটি করা গেলে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংকিং–পদ্ধতিকে একেবারে মানুষের ঘরের মধ্যে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. নাজিম হোসেন সাত্তার ও এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ। প্যানেল আলোচক ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খান, ব্র্যাক ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবদুল মোমেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক নওশাদ মোস্তফা, ভিসার জ্যেষ্ঠ প্রোডাক্ট ম্যানেজার ধবল ছেদা এবং কিফিয়া ফাইন্যান্সিয়াল টেকনোলজির সিইও মুনির দুরি।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জামানতবিহীন ঋণ ছাড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) ঋণমান নির্ধারণপদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এতে বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন।

এসএমই ফাউন্ডেশনের ডিএমডি মো. নাজিম হোসেন সাত্তার জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এসএমই ফাউন্ডেশন দেশের প্রায় ১০ হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তার মধে৵ সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে, ঋণপ্রাপ্ত উদ্যোক্তার প্রায় ২৫ শতাংশ নারী।

কর্মশালায় জানানো হয়, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো জামানত, গ্যারান্টি ও আর্থিক রেকর্ডের ওপর নির্ভর করে থাকে। এসব শর্ত পূরণ করতে না পারায় ঋণ পেতে নানা সমস্যার মুখোমুখি হন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা; বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তারা।

বিজভিউ/ জেডএইচএস